শুক্রবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির করোনা টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ এ তথ্য জানায়। খবর এনডিটিভি।
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া বলেন, ‘একটা বিষয়ে আমাদের সবার পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন, তা হলো- ডেল্টা ধরন শিশুদের বিশেষভাবে আক্রমণ করে না। কিন্তু যারা করোনা টিকার ডোজ নেননি বা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ঠিকমতো মেনে চলে না, তাদের ডেল্টায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।’
ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই অসংখ্যবার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রূপান্তর হয়েছে। ফলে উদ্ভব হয়েছে ভাইরাসটির বেশ কয়েকটি পরিবর্তিত ধরন বা প্রজাতি।
করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত এই ধরন বা প্রজাতিসমূহের মধ্যে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৬টি ধরনের আধিপত্য চলছে বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্রীক বর্ণমালা অনুসারে এই ধরনগুলোর নাম দেওয়া হয় আলফা, বিটা, গ্যামা, ডেল্টা, কাপ্পা ও ল্যাম্বডা।
ডব্লিউএইচও জানায়, করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক এই ধরনসমূহের মধ্যে বর্তমানে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরনের নাম ডেল্টা। ২০২০ সালের অক্টোবরে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয় এই ধরনটি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৩২ দেশে ডেল্টায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।