হাঁটুর ইনজুরিতে তামিম ইকবাল আর হাতের কবজির চোটে নেই লিটন দাস। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ওপেনার সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কেননা ১৭ দলের স্কোয়াডে যে বিশেষজ্ঞ ওপেনার রয়েছেন মাত্র দুইজন। তাই এখন অভিনব চিন্তা টিম ম্যানেজম্যান্টের।
জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচেই ইনিংস সূচনা করেছেন নাইম শেখ ও সৌম্য সরকার। প্রাথমিকভাবে দুজনের জুটি বেশ সফলই বলা চলে। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেটে প্রথম শতরানের জুটি করেছিলেন এ দুজন।
এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটিতে নাইম-সৌম্যই যে হবেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার- তা নিশ্চিতভাবেই বলে দেয়া যায়। কিন্তু এ দুজনের মধ্যে কারও যদি কোনো চোট বা জরুরি অবস্থা চলে আসে, তাহলে বিকল্প কী? কাকে দিয়ে ইনিংস শুরু করবে বাংলাদেশ?
কঠোর কোভিড-১৯ প্রটোকলের কারণে বাইরে থেকে নতুন করে কোনো খেলোয়াড় একদমই সুযোগ নেই। তাই সমাধান খুঁজতে হবে স্কোয়াডের ১৭ জনের মধ্যেই। আর তা খুঁজতে গিয়েই অভিনব চিন্তা বাংলাদেশ দলের। যা হয়তো আগে চিন্তা করেনি কেউ।
জরুরি প্রয়োজনে সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুনও ওপেনার হয়ে যেতে পারেন বলে জানালেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। দুজনই ওপরের দিকে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় ওপেনার হতেও সমস্যা হবে না বলে মনে করেন ডোমিঙ্গো।
রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ওপেনিংয়ে স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড় সংকটের বিষয়ে টাইগারদের হেড কোচ বলেছেন, ‘আমরা এ বিষয়টা নিয়ে অনেক ভেবেছি। এখন স্কোয়াডে সাকিব আল হাসান আছে, সে ওপেনিংয়ে উঠে আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ মিঠুন দলে ফিরে এসেছে। যদিও সে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, তবে এই সংস্করণে প্রয়োজনে সে ওপেন করতে পারে, যদি কোনো ওপেনার চোট পায়। আশা করি, ওপেনারদের কিছু হবে না। তবে কিছু হয়ে গেলে, বিকল্প আছে আমাদের।’
হেড কোচের ভাবনা খানিক অবিশ্বাস্য শোনালেও, বাস্তবিক অর্থেই এটির প্রয়োগ করার সুযোগ নিতেই পারে বাংলাদেশ দল। কেননা দীর্ঘদিন ধরেই তিন নম্বরে খেলছেন সাকিব। ফলে নতুন বলে মানিয়ে নেয়া তার পক্ষে খুব অন্যদের তুলনায় সহজই হবে।
অন্যদিকে ঘরোয়া ক্রিকেট তো বটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ওপেনিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে মিঠুনের। বাংলাদেশের হয়ে একটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস শুরু করেছেন তিনি। এমনকি ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন তিনি, করেছিলেন ২৩ রান।
তবে সাকিব-মিঠুনের বাইরে বাংলাদেশ দল চাইলেই আরও একজনের দিকে তাকাতে পারে। তিনি স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে প্রায়ই ওপেনিং ও তিন নম্বরে ব্যাটিং করে থাকেন এ মারকুটে ব্যাটসম্যান। প্রয়োজনে তাকেও হয়তো ব্যবহার করবে বাংলাদেশ দল।