রোববার (১ আগস্ট) এ ঘোষণা দেন এ সামরিক জান্তা। খবর আরব নিউজের।
এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সাং সু চিকে আটক করে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
এর পর থেকে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে সামরিক জান্তা সরকারের আইন শৃঙ্খলারক্ষী বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে ৯ শতাধিক আন্দোলনকারী প্রাণ হারিয়েছেন।
রোববার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক ভাষণে সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেন, ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে মিয়ানমারের জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে সাধারণ নির্বাচন দেওয়া হবে।
নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করতে পারবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার একটা অস্থির সময় পার করছে। এ সরকার একদিকে যেমন দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সামরিক শাসনবিরোধী সামাজিক শক্তি, যাদের সিডিএম (সিভিল ডিজওবিডিয়েন্স মুভমেন্ট) বলা হয়, তাদের অন্তরীণ করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে এক হাজারের কাছাকাছি সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে সামরিক জান্তা। সেই সঙ্গে কয়েক লাখ মিয়ানমারবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) হাজার হাজার শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করে সামরিক শাসনবিরোধী শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)- জাতীয় ঐক্যের সরকার-যাকে প্রবাসী সরকার বলা হচ্ছে, এ সরকারকে পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে।
এত কিছুর পরও জান্তা সরকারের চলার পথ খুব একটা মসৃণ নয়। কারণ মিয়ানমারের সেনাশাসকরা ক্রমাগতভাবে একটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।
এসব চাপ সামলাতেই দুই বছর পর নির্বাচনের ঘোষণা দিল জান্তা সরকার।