রোববার (১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৫ আগস্টের পর লকডাউন আর বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় না। এই সিদ্ধান্ত যারা নেন তারা বলতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। পোশাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন দায়িত্ব পালন করবে। টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থল, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বনানী কবরস্থানসহ সারাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে র্যাবের দৃশ্যমান উপস্থিতি থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। সকল অনুষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা থাকবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও বিশেষ দোয়া মাহফিলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ জনবল উপস্থিত থাকবে।’