রোববার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহদাতবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি। এ উপলক্ষে আজকের সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো- জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও সেদিনের জন্য করা হবে। ঢাকার বনানীস্থ কবরস্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বনানী কবরস্থানসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে র্যাবের টহল থাকবে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। সব অনুষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।’
জাতীয় শোক দিবসের সবল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান আসাদুজ্জামান কামাল।
তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হবে এবং আমরা অনুরোধ রাখব মাস্ক ছাড়া কেউ যেন অনুষ্ঠানে না যায়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আরও কিছু নির্দেশনা যদি আসে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে অনুষ্ঠানগুলো হবে তার নিরাপত্তা এবং অনুষ্ঠানগুলো যাতে সুন্দরভাবে হয় তার জন্যই আমরা বৈঠক করেছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবসের সব অনুষ্ঠানেই পোশাকি নিরাপত্তা বাহিনীসহ সাদা পোশাকের বাহিনী কাজ করবে। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফতেহা পাট, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত, বিশেষ দোয়া মাহফিলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানের আয়োজনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিধিনিষেধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দেয়ার বিষয়ে আমার সভাপতিত্বে একটি কমিটি হয়েছে। এই মাসের ৭ তারিখ থেকে আমরা তার ব্যবস্থা করছি। টিকা দেয়ার জন্য সবাইকে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমরা অনুরোধ করছি।’
বৈঠকে জননিরাপত্তা সচিব, পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।