বুধবার (৪ আগস্ট) সিএনজি অটোরিকশাচালক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফ ও যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম এবং এ আর জাহাঙ্গীরের এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
পরিষদের নেতারা বলেন, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের নামে লকডাউন কার্যকর রেখেছে। ঈদের এক সপ্তাহ বাদ দিলে গত এক মাসের বেশি সময় সরকার সিএনজি অটোরিকশা সড়কে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে শুধু ঢাকা শহরেই প্রায় ৫০ হাজার চালক বেকার হয়ে পড়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমানে সিএনজি অটোরিকশাচালকদের দুর্দিন চলছে। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যকর আর্থিক প্রণোদনাও নেই। সিএনজি অটোরিকশা মূলত ব্যক্তিগত ব্যবহার্য যানবাহন, তাই সিএনজি ব্যবহারে করোনায় সংক্রমণের সম্ভাবনা খুবই কম। এখন লকডাউনে যেহেতু গার্মেন্টসহ শিল্প-কলকারখানা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা, হাসপাতাল ও জরুরি পণ্য সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা সেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, সিএনজি বন্ধ থাকায় কোভিড আক্রান্ত রোগীদের পরিবহনস্বল্পতার কারণে তার স্বজনরা দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারছেন না। এতে মৃত্যুহার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরের সাধারণ ছুটির সময় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা করোনায় আক্রান্তদের বিনা পারিশ্রমিকে হাসপাতালে ও তাদের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছেন।
সরকার যদি এবারও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালানোর অনুমতি দেয়, তাহলে জনগণ যেমন সেবা পাবে তেমনি অসহায় সিএনজিচালকরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন বলে জানান নেতারা।