বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌ পথে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনার সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। তবে ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।
এরপর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।
দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়ে রোববার (৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তবে এদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
আজ এ নিয়ে নতুনকরে প্রজ্ঞাপন জারি করলো সরকার। তাই আগামী ১৯ আগস্ট থেকে রাস্তায় শতভাগ পরিবহন চলাচল করতে পারবে।