গত বছরের মার্চ মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
লকডাউনের আগে গত মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে সাধারণ মানুষের ভোগ্যপণ্য কিনে মজুদ করে রাখার প্রবণতা থেকে ব্যাপক কেনাকাটা করায় অনেক পণ্যের দাম চড়া ছিল।
তার প্রতিফলন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তৈরি করা মূল্যস্ফীতির হিসাবে পড়েনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্য ও মজুরি অণু-বিভাগের পরিচালক আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক মাসের ১২ থেকে ১৮ তারিখে আমরা সারা দেশের নির্ধারিত বাজার থেকে পণ্যের মূল্য নমুনা নিয়ে মাসিক প্রতিবেদন তৈরি করে থাকি। গত মাসে সরকার লকডাউন ঘোষণার পর মূলত মার্চের শেষ দিকে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই ওই কেনাকাটার চাপের বাজার মূল্য আমরা নিতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, পয়েন্ট টু পয়েন্ট (আগের বছরের একই সময়ের তুলনায়) ভিত্তিতে হিসাব করলে গত বছরের মার্চ মাসের সঙ্গে তুলনা করতে হবে। গত বছরের মার্চ মাসে ওই বছরের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। তাই এই বছরের মার্চ মাসে সেই তুলনায় কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী গেল মার্চ মাসে খাদ্য পণ্যের সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের মার্চ মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
গত মার্চে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের বছরের মার্চ মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে গত মাসে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।