রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ প্রদান করবে। এই ঋণ সুবিধায় সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এর অর্ধেক অর্থাৎ ৪.৫ শতাংশ ভর্তুকি হিসেবে সরকার ব্যাংকে প্রদান করবে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সহ মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করা হবে। এখানেও ঋণের হার ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের ৫ শতাংশ সুদ সরকার ব্যাংকে দেবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রদত্ত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) এর সুবিধা বাড়ানো হবে। ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ফলে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। এর সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশে নির্ধারণ করবো। প্রি শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইনার স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণ সুবিধা চালু করবে। এই ঋণের সুদের হার হবে ৭ শতাংশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ইতোপূর্বে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি আপদকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলাম। এই প্রণোদনাসহ মোট আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের পরিমাণ হবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ২.৫২ শতাংশ।’
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে সার্বিক দিকনির্দেশা দেন।
এ সংবাদ সম্মেলন বরাবরের চেয়ে একটু ব্যতিক্রমীভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার সংবাদ সম্মেলনটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতার সরাসরি সম্প্রচার করছে। কোনও রিপোর্টার বা আমন্ত্রিত কোনও অতিথি এতে উপস্থিত নেই।