বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বোমা হামলা হয়। এই হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত দেড় শতাধিক। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৩ সেনা নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার চলার মধ্যেই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ায় বাইডেনের সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। কাবুলে গতকালের রক্তক্ষয়ী হামলাকে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এ ধরনের বিয়োগান্ত ঘটনা কখনোই ঘটতে দেওয়া উচিত হয়নি। এতে তাঁদের মর্মপীড়া আরও গভীর হয়েছে। এই হামলা ঠেকানো উচিত ছিল।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। সমালোচনার জবাবে বাইডেন বলেন, ট্রাম্পের করা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তাঁকে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
গতকাল কাবুলে হামলার ঘটনার পর কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বাইডেনের সমালোচনায় মুখর হন। তাঁদের মধ্যে কেউ বলেছেন, বাইডেনের পদত্যাগ করা উচিত। আবার কেউ বলেছেন, বাইডেনকে অভিশংসন করা উচিত।
মিজৌরির রিপাবলিকান সিনেটর জস হাউলি বলেন, এ ঘটনার জন্য বাইডেন দায়ী। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বাইডেনের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই। তাঁর অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত।
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্য এলিস স্টেফানিক এক টুইটে লিখেছেন, বাইডেনের হাত রক্তে রঞ্জিত। এই ভয়াবহ জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা শুধু বাইডেনের দুর্বল ও অক্ষম নেতৃত্বের ফল। তিনি ‘কমান্ডার ইন চিফ’ হওয়ার অযোগ্য।