নতুন ট্রেক পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ওয়িংস ফিন লিমিটেড, ফারইস্ট শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, ইনোভা সিকিউরিটিজ, অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড,ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ, সিএএল সিকিউরিটিজ,এসবিআই সিকিউরিটিজ এবং ডিপি৭ লিমিটেড।
নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুঁজিবাজারের প্রতি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, তারল্য সংকট দূর করা ও বাজার সম্প্রসারণ করতে কাজ করছে। পুঁজিবাজারে টাকার প্রবাহ বাড়াতে দেশে ও দেশের বাহিরে পুঁজিবাজারকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কমিশন। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে চায় অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কমিশন।
এবিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রেক অনুমোদন একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে আরও কিছু দেওয়া হলো। বাকীগুলোর বিষয়ে পর্যায়ক্রমে অনুমোদন দেওয়া হবে।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজারকে আরও প্রসারিত করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিজিটাল বুথের অনুমোদন ও শাখা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুঁজিবাজার সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দিয়েছে আরও ১৬টি ট্রেকের অনুমোদন। তৃতীয় পর্যায়ে আরও নয়টি ট্রেকের অনুমোদন দেওয়া হলো। নতুন নয়টি নিয়ে মোটি নতুন ট্রেকের সংখ্যা হলো ৫৫টি।
অন্যদিকে নতুন ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যু করতে চেয়েছিলো ডিসই। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ৯৯০তম পরিচালনা পর্ষদের সভায় ডিএসই সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ, স্কীম, বিধিমালা ও প্রবিধানমালার বিধানাবলী মোতাবেক যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর পত্রিকায় ও ডিএসইর সাইটে আবেদন জমা দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে এর মেয়াদ দেওয়া হয় ১৮ মার্চ পর্যন্ত। ওই সময়ে কাঙ্খিত আবেদন জমা না পড়ায় ২৮ মার্চ পর্যন্ত আবেদন গ্রহনের সময় বাড়ানো হয়। এই সময়ে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠান ট্রেকের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন অযোগ্য বলে বাতিল করা হয়। যোগ্য ৫১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিএসইসিতে জমা দেয় ডিএসই। পরে বাতিল করা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আরও কিছু নাম জমা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিন ধাপে ৫৫টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিলো বিএসইসি। এর আগে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ট্রেক সংক্রান্ত আইনটি চুড়ান্ত করে কমিশন।
উল্লেখ্য,ট্রেক হলো পুঁজিবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেন করবেন।