আজ (সোমবার) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- প্রচার-প্রচারণার জন্য ও অপপ্রচার রোধে এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নামানো হবে। এ বিষয়ে বিএনপি বলছে, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ এবং লেখনি সেন্সর করার জন্য এক লাখ অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে। এখনো হাজার-হাজার অ্যাক্টিভিস্ট আমাদের দলের বা ঘরোনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকটিভ আছে। সেগুলোকে সমন্বয় ঘটিয়ে যাতে একসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে, সে কথা বলা হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা এসব কথা বলে, তাদের আসলে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম কিভাবে চলে, সে সম্পর্কে ধারণা নেই। এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাক্টিভিস্ট কাজ করবে, কার কণ্ঠ কে রোধ করবে?
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী আহমেদরা বিদেশে অ্যাক্টিভিস্ট নিয়োগ করেছে, সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য। সে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সুপ্রচার আরো জোরালো হবে। তখন এ অপপ্রচারগুলো মাঠে মারা যাবে, সে শঙ্কা থেকে তারা এ কথা বলছে।
ইউটিউবে যে পরিমাণ অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানো হয়, একই সঙ্গে রাষ্ট্রসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোও হয়। সেগুলো বন্ধ করার কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এগুলোর সার্ভিস প্রোভাইডার হচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য যেসকল প্লাটফর্মে দেখানো হয়, সেসকল কর্তৃপক্ষ। তাদের বলা হয়। অনেকক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায়, অনেকক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।