নতুন টার্মিনালটি চালু হলে বছরে ঢাকার এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটিতে পৌঁছাবে। একই প্রকল্পের অধীনে আমদানি-রপ্তানি পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন কার্গো ভিলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। তাতে বর্তমানে বিমানবন্দরের ২ লাখ টন কার্গোর সক্ষমতা বেড়ে ৫ লাখ টন হবে।
এছাড়া ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মত, নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার একটি নতুন টার্মিনাল চালু হলে নানামুখী ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে।
ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে। সেই প্রতিষ্ঠান ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরের মাস্টার প্ল্যান হালনাগাদের পাশাপাশি তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামোর নকশা প্রণয়ন করে।
নির্মাণাধীন নতুন টার্মিনালের নিচে মেট্রোরেলের স্টেশন থাকবে। এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটির সংযোগও থাকবে। ফলে বিমানবন্দরে যাওয়া–আসার ব্যবস্থা বর্তমানের চেয়ে বহুমাত্রিক হবে। তা ছাড়া বিমানবন্দরের পাশেই হচ্ছে পাঁচ ও তিন তারকা মানের হোটেল। বিপণিবিতানও নির্মাণ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগে।
বিমানবন্দর সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে নতুন কার্গো ভিলেজ তৈরি হচ্ছে। এই কার্গো ভিলেজের আয়তন ৬৩ হাজার বর্গফুট। এটি বর্তমান কার্গো ভিলেজের কয়েক গুণ বড়। মূলত পৃথক দুটি চারতলা ভবনে ইমপোর্ট (আমদানি) ও এক্সপোর্ট (রপ্তানি) কার্গো ভিলেজ হবে। উভয় ক্ষেত্রে পণ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকবে।