এ সময়ে নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৯০ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ জনে। দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিপর্যয় নামার পর এটিই সর্বন্নিম দৈনিক শনাক্ত। এর আগে গত ২৯ মে সর্বনিম্ন দৈনিক শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৪৩ জন।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৪ জন।
এ সময়ে সারা দেশে ১৯ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় ১৯ হাজার ৬৬৮টি নমুনা। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে নারী ১৯ জন এবং পুরুষ ১৬ জন।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী ও খুলনায় ৩ জন করে, সিলেটে ২ জন এবং বরিশালে ও রংপুর বিভাগের রয়েছেন ১ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এরপর দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয় সংক্রমণ ও মৃত্যু। বছরের শেষ দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হলেও এ বছরের মার্চ-এপ্রিল থেকে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। জুন-জুলাইয়ে ভয়ঙ্কর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। আক্রান্তও বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে।