কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে এমন নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত শুরু হলো। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনে ইচ্ছাকৃত খেলাপির সংজ্ঞা যুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুনঃ তফসিল করা ঋণের যে পরিমাণ অর্থ আদায় হবে, তার বিপরীতে যে সুদ মিলবে, সেটিই শুধু আয় খাতে নেওয়া যাবে। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও কেবল বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত (নিম্নমান, সন্দেহজনক ও ক্ষতিজনক) ঋণ পুনঃ তফসিল করতে পারবে। ঋণ নিয়মিত করার প্রতিটি পর্যায়ে গ্রাহক থেকে নির্ধারিত হারে এককালীন জমা নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলেছে, কোনো মেয়াদি ঋণ নিম্নমান থাকা অবস্থায় প্রথম দফায় ৪৮ মাস, দ্বিতীয় দফায় ৩৬ মাস ও তৃতীয় দফায় ২৪ মাসের জন্য পুনঃ তফসিল করা যাবে। আর মন্দ মানে শ্রেণিকৃত সন্দেহজনক ঋণ প্রথম দফায় ৩৬, দ্বিতীয় দফায় ২৪ ও তৃতীয় দফায় ১৮ মাসের জন্য পুনঃ তফসিল করা যাবে। স্বল্পমেয়াদি ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বা সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধের পর প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য পুনঃ তফসিল করা যাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ছয় মাস করে নিয়মিত করতে পারবে এনবিএফআইগুলো।
এককালীন জমার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রথম দফা ঋণ পুনঃ তফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি উভয় ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ১০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ৩০ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ২০ শতাংশের মধ্যে যা কম, তা দিতে হবে। আর তৃতীয় দফায় মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ৫০ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ৩০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, তা পরিশোধ করতে হবে।
উল্লেখিত উপায়ে নিয়মিত করা ঋণ মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। পুনঃ তফসিল করা ঋণের অনাদায়ি কিস্তি ছয়টি মাসিক কিস্তি বা দুটি ত্রৈমাসিক কিস্তির সমান হলে তা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরণ করতে হবে।