কুমিল্লা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কুমিল্লা জেলাকে লকডাউন করেছে প্রশাসন। সেইসঙ্গে জেলায় প্রবেশ ও বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফজল মীর এ কথা জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হিসেবে ডিসি জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুমিল্লাকে লকডাউন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক, নৌপথে অন্য কোনও জেলা থেকে কেউ কুমিল্লায় প্রবেশ এবং বের হতে পারবে না। সব ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবা ও সরবরাহ লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত কুমিল্লার দুটি উপজেলায় তিন জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। লকডাউন করা হয়েছে একাধিক বাড়ি। এছাড়াও ঢাকায় থাকা কুমিল্লার দুই জন মারা গেছেন।
গাইবান্ধা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গাইবান্ধা জেলা লকডাউন (অবরুদ্ধ) করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১০ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিকাল ৫টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হয়। জেলা সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন বলেন, 'সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে গাইবান্ধা জেলা লকডাউন করা হয়েছে। গাইবান্ধার যেসব সংযোগ সড়ক রয়েছে, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগের সড়কগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, গাইবান্ধাকে লকডাউনের বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সব বিষয় উল্লেখ আছে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন: চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। বিকাল ৫টার পর থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই অবরুদ্ধ অবস্থা কার্যকর থাকবে।
নোয়াখালী: শনিবার (১১ এপ্রিল) থেকে নোয়াখালী জেলাকে লকডাউন করার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসক এবং করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তন্ময় দাস। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকালে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নোয়াখালী জেলাকে ১১ এপ্রিল ২০২০ ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি মোকাবিলায় জেলাকে লকডাউন করা হচ্ছে। সড়ক ও নৌপথে অন্য কোনও জেলা থেকে কেউ এ জেলায় প্রবেশ বা বের হতে পারবেন না। আন্তঃউপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
লকডাউন চলাকালীন জরুরি পরিষেবা—যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন কর্মী, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতরা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য, কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি পরিবহন, কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনসহ জীবনধারণের মৌলিক উৎপাদন ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এর আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) চাঁদপুর, বুধবার (৮ এপ্রিল) জামালপুর এবং মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করা হয়।