সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটনশিল্পের বিকাশের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ট্যুরিজম ফর ইনক্লুসিভ গ্রোথ অর্থাৎ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্যে পর্যটনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে যা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে। আমি বিশ্ব পর্যটন দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।’
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিত, সুনিয়ন্ত্রিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন একটি দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্রমঘন পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি এ শিল্পে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে বিশ্ব দরবারে দেশের পর্যটনশিল্পকে কার্যকরভাবে তুলে ধরতে হবে। স্থানীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে পর্যটনের উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’