শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারে সেতুর মাঝামাঝি স্থানে ৪-বি আইডি নম্বরের স্প্যানটি বসানো হয়। পিয়ারের একটি পিলার একটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং অপরটি মাদারীপুরের শিবচরের প্রশাসনিক এলাকায়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে থাকা ৩৯টি স্প্যানের মধ্যে ২৮টি স্প্যান বসানো হলো। আরও চারটি স্প্যান প্রস্তুত আছে এবং বাকিগুলো তৈরির কাজ চলছে। চীনে থাকা দু’টি স্প্যানের কিছু অংশ জাহাজে করে বাংলাদেশের পথে রওনা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই তে করে নির্ধারিত পিয়ারের কাছে নেওয়া হয়। ২৭তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিন পরে ২৮তম স্প্যান বসানো হলো। ২৯তম স্প্যান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বসানোর সিডিউল রয়েছে।
জানা গেছে, মূল সেতু নির্মাণে যেখানে সাড়ে চার হাজার কর্মী নিয়োজিত সেখানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় ৭০ ভাগ কর্মী কাজে আসতে পারছে না। তবে, সেতুর কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে এখনও কাজ করছে প্রায় দেড় হাজার কর্মী। একটি স্প্যান বসানোর কাজে প্রায় দেড়শ’ কর্মীর প্রয়োজন হয় এবং তাদের বেশিরভাগ টেকনিশিয়ান, সাধারণ শ্রমিক নয়।
প্রকৌশল সূত্রে জানা গেছে, সেতুর ৪২টি পিয়ারের সবগুলোর কাজ শেষ।