শনিবার (৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
বৈঠকে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রোমানিয়ার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের জনগণ কৃতজ্ঞ।
দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রথম এই বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অব্যাহত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, রোমানিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে নির্মাণাধীন ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং প্রতিষ্ঠিত হাইটেক পার্কগুলোতে যৌথ মালিকানায় কিংবা শতভাগ নিজস্ব মালিকানায় বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সেদেশের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলসহ বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি। রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোগদান অরেস্কু ড. মোমেনের এই আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন।
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রশ্নে রোমানিয়ার সমর্থন প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি পাঠানোর সম্ভাব্যতা নিয়েও উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন। দুই দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মতি প্রকাশ করেন তারা।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে রোমানিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন ড. মোমেন।
এ বিষয়ে বোগদান অরেস্কু বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং রোমানিয়ার পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ফোরামে দুই দেশের সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে নিজ নিজ দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনাও করেন তারা।