দশ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা

দশ হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা
গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে তিন কার্যদিবসই পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। যার কারণে আগের সপ্তাহের গত সপ্তাহেও পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সাথে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধন।

সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ২৬১ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন তিন হাজার ১৯ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ২১৮ টাকা বা ৩৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৭.০৪ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭৬.২৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৯.২৭ পয়েন্ট বা ৩.১৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.৮০ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫১৮.১৬ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৯৯.৩৪ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির বা ৮.২০ শতাংশের, কমেছে ৩৩৮টির বা ৮৯.৪২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির বা ২.৩৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২৮ কোটি ৯৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ০১৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৯৬ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৫ টাকা বা ৩০ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২৩.৩৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৯৩.৩৫ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.০৮ পয়েন্ট বা ১.৯৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮৬.২০ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৫.৬৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং সিএসআই ৫০.৯৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৪৩৩.৮৯ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৭৯১.৩০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৫৮.৬০ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩০০.৯৪ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪১টির বা ১২.২৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৮৬টির বা ৮৫.৩৭ শতাংশের কমেছে এবং ৮টির বা ২.৩৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত