বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্যের নিজস্বতায় ধর্ম, বর্ণের ঊর্ধ্বে ওঠা একমাত্র সার্বজনীন উৎসব। গ্রামীণ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পহেলা বৈশাখ এখন শহরের আঙিনায় আলোকিত প্রাণের উৎসব। গ্রাম থেকে শহরে আনন্দ মুখর পরিবেশ ও নানান অনুষ্ঠানে বরণ করে নেয়ার কথা নতুন বছরকে। কিন্তু করোনা সংকুল পরিস্থিতিতে এবার এসবের কিছুই নেই। টেলিভিশনের পর্দায় প্রচারিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবার উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সরকারি-বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেল এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করেছে।
নুজহাত চৌধুরীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটিতে বিশিষ্ট শিল্পীদের গান পরিবেশন ছাড়াও রয়েছে কবিতা আবৃত্তি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নববর্ষ উদযাপন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেখানো হচ্ছে অনুষ্ঠানে। এমন পরিস্থিতিতে নববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, আজকে আমাদের যত আনন্দ, যত আয়োজন সব কিছুর মূলে আমাদের জাতির পিতা। তাকে সারাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে স্মরণ করি।
তিনি আরও বলেন, এবারের নববর্ষ আমরা চিরাচরিত যেভাবে উদযাপন করে থাকি সেভাবে করতে পারছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের সবাইকে ঘরে থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হচ্ছে। কারণ এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ প্রতিকূল। এই পরিস্থিতিতে তার নির্দেশনা মেনে চলব এবং ঘরে বসে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করব।