বুধবার (২৭ অক্টোবর) অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যা যা নীতি-সহায়তা দরকার, সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু করা হবে। অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে, পুঁজিবাজার তত মজবুত হবে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাপোর্ট দেব।’
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বেশির ভাগ দিনই দরপতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। পতন গত রবি ও সোম তীব্র আকার ধারণ করে। এই দুই দিনে সূচক কমে ১৯০ পয়েন্ট। টানা দরপতনের প্রতিবাদে গত সোমবার মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভও করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক দরপতনের প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাজারে লাভ-লোকসান দুটোই আছে। কেউ যদি শুধু লাভের আশায় বিনিয়োগ করেন, তাহলে ঠিক হবে না। এখানে ঝুঁকি আছে, এটা মেনেই বিনিয়োগ করতে হবে তাকে। সুতরাং আমি বলব, আপনারা দেখেশুনে বিনিয়োগ করুন।’
২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, বিষয়টি এখন বন্ধ কেন? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন, একসময় উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। নানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।’
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের শেয়ার ছাড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো যখন লাভজনক অবস্থায় আসবে, তখন পর্যায়ক্রমে আনা হবে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়েও কথা বলেন মুস্তফা কামাল। তার দাবি, বাজারে সবকিছুর দাম চড়া থাকলেও মূল্যস্ফীতি সহনীয় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে, এ কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে এর প্রভাব পড়েনি।’
ডলারের বাজারে অস্থিরতা কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডলারের দাম ওঠানামা করবে, এটাই স্বাভাবিক। দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। চাহিদা বেশি থাকলে দাম বাড়বে আর কম থাকলে দাম কমবে। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’