মঙ্গলবার জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২০৯ জন যা কিনা একদিনে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের, একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাতেও এটা সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি, ১৪ দিনের ইনকিউবিশন পিরিয়ডের পর থেকে রোগী শনাক্ত হওয়া, সাধারণ ছুটির পর মানুষের ঢাকা ছাড়া এবং এই ভাইরাসের ট্রেন্ড—সবকিছু মিলিয়েই সাত দিনে পাঁচগুণ বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতিটি বিষয় রোগী বাড়ার পেছনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য থেকে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৪১ জন, মারা গিয়েছিল ৫ জন। ৮ এপ্রিল শনাক্ত হন ৫৪ জন; মারা যান তিন জন। ৯ এপ্রিল শনাক্ত হন ১১২ জন; মারা যান একজন।
১০ এপ্রিল শনাক্ত হন ৯৪ জন; মারা যান ৬ জন। ১১ এপ্রিল শনাক্ত হন ৫৮ জন; মারা যান তিন জন। ১২ এপ্রিল শনাক্ত হন ১৩৯ জন; মারা যান চার জন। ১৩ এপ্রিল শনাক্ত হন ১৮২ জন; মারা যান পাঁচ জন। সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল শনাক্ত হয়েছেন ২০৯ জন, মারা গেছেন সাত জন।
ভাইরাস তার নিজের গতিতেই আগাচ্ছে মন্তব্য করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘আগে নমুনা পরীক্ষা করার সুযোগ একটি ল্যাবরেটরিতে সীমাবদ্ধ ছিল, পরীক্ষা করার সুযোগ কম ছিল, তাই রোগী শনাক্ত করা যায়নি। কিন্তু আক্রান্ত প্রথম থেকেই হয়ে এসেছে। যেহেতু এখন টেস্ট ফ্যাসিলিটি বেড়েছে, তাই আক্রান্তের হার জানা যাচ্ছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অনেক।’