এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৭ জন নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে একক উপজেলা হিসেবে সাতকানিয়ায় সর্ব্বোচ ছয়জন শনাক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনই মঙ্গলবার শনাক্ত হন।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলাটি লকডাউন করা হবে বলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা উপজেলাটি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
“এই উপজেলায় বাইরে থেকে কেউ প্রবেশ করতে বা এই উপজেলা থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না।
তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহসহ জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও ব্যক্তিরা চলাচল করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
সাতকানিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়ক গেছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে আলম বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হবে।
মঙ্গলবার শনাক্ত সাতকানিয়া উপজেলার পাঁচজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীই ঢেমশা ইউনিয়নের পশ্চিম ঢেমশা ইছামতি আলী নগর এলাকার বাসিন্দা।
নুরে আলম জানান, আক্রান্তরা আলী নগর এলাকায় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৬৯ বছর বয়সী বৃদ্ধের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন ওই বৃদ্ধের ছেলে, দুজন চাচাত ভাই, একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক এবং অন্যজন স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বর।
সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নের আলীনগর এলাকার বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ ৯ এপ্রিল রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে মারা যান। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় ১১ এপ্রিল তার করোনাভাইরাস পজেটিভ ফল আসে ।