করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন- এমন চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সিএনএন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি শ্বাসকষ্টে ভুগলে তাকে উপুর করে শুইয়ে দিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ানো যায়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘প্রোন পজিশনিং’।
ডা. নরসিমহান বলেন, এই প্রক্রিয়া শতভাগ কাজে দেয়। এটি খুব সহজ উপায়। আমরা দেখছি এতে রোগীর অসাধারণ উন্নতি হচ্ছে।
ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের পরিচালক ডা. ক্যাথরিন হিবার্ট বলেন, আপনি যখন দেখবেন এই পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে তখন বারবার আপনি একই কাজ করতে চাইবেন। আর কোভিড-১৯ আক্রান্ত শ্বাসকষ্টে ভোগা মারাত্মক রোগীকে উপুর করে শুইয়ে দিলে তা টনিকের মতো কাজ দিচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগেন। এর সঙ্গে যদি ওই ব্যক্তির নিউমেনিয়া বা জটিল কোনো রোগ থাকে তাহলে তাকে বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়।
সাত বছর আগে ফ্রান্সের একদল চিকিৎসক নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন। তারা দেখান যে, শ্বাসকষ্টে ভোগা যেসব রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়, তাদের উপুর করে শুইয়ে রাখলে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা আগে থেকেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। করোনার মহামারির সময় এই পদ্ধতিটিই এখন দেশটিতে কাজে দিচ্ছে বেশি।
নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে দেখা গেছে, করোনা আক্রান্ত শ্বাসকষ্টে ভোগা এক রোগীকে উপুর করে শুইয়ে দেওয়ার পর তার রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে এক লাফে ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়।
যেসব রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয় তাদের সাধারণত দিনে ১৬ ঘণ্টা উপুর করে শুইয়ে রাখা হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উপুর করে শুইয়ে রাখলে অক্সিজেন পাওয়া সহজ হয় রোগীর জন্য। কিন্তু যখন পিঠের ওপর ভর করে শোয়ানো হয় তখন অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হয়।