সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন শার্শা উপজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী।
চিঠিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের নতুন এ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, গোটা ইউরোপ এবং আরও ১১টি দেশ বা অঞ্চল। সেগুলো হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ইসরায়েল। এ সমস্ত দেশ থেকে যেসব যাত্রীরা বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসবে তাদেরকে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, ভারত থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশের আগে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব যাত্রী মাস্কবিহীন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের মধ্যে ফ্রি মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশি তত্ত্বাবধানে ইমিগ্রেশনের প্রবেশমুখে বসানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ই বলেন, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ট্রাকচালক ও হেলপারদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে সেজন্য বন্দরের বিভিন্ন বহির্গমন গেটে সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ও বন্দর এলাকায় সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদর ডিজিটাল স্ক্যানিং মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে করোনা শুরুর আগ থেকেই।