উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল

উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো ও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) কোম্পানির পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা দুইভাবে বাড়ানো হবে। একটি হলো চলমান প্রকল্প সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন (বিএমআরই), অন্যটি হলো নতুন একটি প্রকল্প করা হবে। দুইভাবে কোম্পানিটিতে ৮৫ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ইউএসডি বিনিয়োগ করা হবে। ৮৫ টাকা করে ডলারের দর ধরলে প্রায় ৭২৬ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নতুন প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে আয় বাড়বে ৭ মিলিয়ন ইউএসডি। প্রতি বছর প্রায় টার্নওভার বাড়বে ৭১৪ কোটি টাকা।

এই টাকার মধ্যে প্রতি মাসে ইয়ার্ন ডাইং ইউনিটে বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৯৬০ টন। নতুন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে ১৮০ টন। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ইয়ার্ন ডাইং ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১১৪০ টন।

প্রতি মাসে ওয়েভিং ইউনিটে বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৩৩ লাখ। নতুন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে ১৭ লাখ। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ওয়েভিং ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৫০ লাখ গজ। প্রতি মাসে সলিড ডায়িং ইউনিটে বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৬ লাখ। নতুন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে সাড়ে ১৬ লাখ। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ওই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে সাড়ে ২২ লাখ গজ।

প্রিন্টিং ইউনিটে প্রতি মাসে বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৪৫০ টন। নতুন উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে ৪৫০ টন। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৯০০ টন। এদিকে নতুন করে নিটিং ফেব্রিক্স ইউনিট করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। এই ইউনিটে প্রতি মাসে ৪০০ টন নিটিং ফেব্রিক্স উৎপাদন হবে।

সমাপ্ত অর্থবছরের কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। এটি ছিল তালিকাভূক্তির পর কোম্পানিটির সর্বোচ্চ লভ্যাংশ।

এদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই,২১-সেপ্টেম্বর,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা।

কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার রয়েছে ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত