সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এই ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির পক্ষে সংস্থাটির এ দেশীয় প্রধান এডিমং গিংটিং চুক্তিতে সই করেন।
কোভিডের ধাক্কায় দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু পুনরুদ্ধারে এরাই আবার সবচেয়ে পিছিয়ে। সরকারের প্রণোদনা ঋণ পেয়েছে মূলত বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলো। এই বাস্তবতায় এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা অর্থনীতিবিদেরা বারবার বলে আসছিলেন।
এডিবি জানিয়েছে, দেশের তরুণ, বিদেশফেরত কর্মী ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের জন্য এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) জন্য এই ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ৩০ হাজার সিএমএসই উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই ঋণ বিতরণ করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহজতর করা ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে মহামারির প্রভাব কাটিয়ে ওঠায় সহায়তা করতে এই অর্থায়ন করা হচ্ছে।
উদ্বেগের আরেকটি কারণ হলো, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রায় ৪ লাখ প্রবাসী বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন এবং তাঁদের মধ্যে অনেকে এখনো বেকার। নতুন করে বিদেশে যাওয়ার হারও কমে এসেছে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে মানুষের আয় কমে গেছে এবং অকৃষি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে গেছে। পাশাপাশি গ্রামীণ উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ঋণ মূলত তাঁদের জন্য বলে জানিয়েছে এডিবি।
ইআরডি সচিব বলেন, এডিবি ঋণ কোভিড মহামারির সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করবে। যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের আর্থসামাজিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে এই ঋণ। পাশাপাশি সরকারের প্রচেষ্টাও এগিয়ে নেবে।
এডিবির এ দেশীয় প্রধান গিনটিং বলেন, এডিবির এই প্রয়াস নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সিএমএসইকে অর্থায়ন করা হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করা হবে।