শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সম্মেলনে শান্তি রক্ষায় কাজ করা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কবি, সাহিত্যিক, নোবেল বিজয়ী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মী ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন। এতে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে ৬০ জন প্রতিনিধি সশরীরে আসবেন। বাকি ৪০ জন প্রতিনিধি ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামী ৪ ও ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন করেছে। ৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ও ৫ ডিসেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতি সম্মেলনের গুরুত্বকে বহুগুণে বাড়াবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলনে চারটি প্যানেলে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে। দুই দিনব্যাপী আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনের আলোকে শান্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হবে।
সম্মেলনে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চক তং, পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জোসে রামোস-হর্তা, বুলগেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরিনা বোকোভা, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনোমিক ফোরাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ হামিদ আলবার, ইউনিভার্সিটি অব পিসের রেক্টর ফ্রান্সিসকো রোজাস আরাভেনাসহ আরও অনেকে অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মোমেন জানিয়েছিলেন, বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে এ সম্মেলনে ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ করা হবে। মূলত রোববার (৫ ডিসেম্বর) ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটবে। এটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক উদ্যোগের রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।