রোববার (৫ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লঘুচাপ আকারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলের নিকট দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। এর প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ স্থানের আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশকিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া, কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের পথে যাতায়াতকারী সব জাহাজ চলাচল রোববার সকাল থেকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের টানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।