শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাটি জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের জন্য ন্যূনতম খাদ্য উপকরণ কিনতে প্রতি পরিবারে এক হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
এর আগে প্রথম পর্বে এক লাখ দরিদ্র পরিবারকে সমপরিমাণ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল ব্র্যাক, যেটার বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রতি শেষ হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের অর্থ সাহায্য ব্র্যাকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হলেও এবারের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক অধিদপ্তর (ডিএফএটি), গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা (জিএসি) ও ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মাসের প্রথমেই ব্র্যাকের একটি জরিপে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকার পরামর্শ মানতে গিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় অনেক কমে গেছে। ৭২ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন অথবা তাদের কাজ কমে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে চরম দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় বেড়ে গেছে ৬০ শতাংশ। ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই। ওই জরিপে মাত্র ২৯ শতাংশের ঘরে এক থেকে তিন দিনের খাবার থাকার বিষয়টি উঠে আসার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এরপর আরও দুই সপ্তাহ চলে গেছে, এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কথা। তাই আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে খাদ্য সহায়তা চালু করেছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।