বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি বিদ্যালয়সমূহে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নানা অজুহাতে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি আদায় করে। আশা করি, তারা সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে। যদি কেউ অতিরিক্ত ফি আদায় করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসার জায়গা নয়। এটা নৈতিকতা চর্চার জায়গা।
মন্ত্রী বলেন, গতবছর করোনার কারণে লটারির ব্যবস্থা করেছি। এই বছর পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকার পরও লটারির মাধ্যমেই ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতা আমরা বজায় রাখতে চাই।
তিনি বলেন, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে লটারি করছে, আমাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেটি হবে। কিন্তু কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। এ বছর আমরা জেলায় গিয়েছি, সামনে উপজেলায় যাব। ধীরে ধীরে সারাদেশে একসঙ্গে এই (লটারির মাধ্যমে ভর্তি) কার্যক্রম চালু হবে।
দীপু মনি বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির এই প্রক্রিয়া আমরা চলমান রাখতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষায় সমতা এবং ভালো স্কুলে ভর্তির অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। পাশাপাশি অনৈতিক উপায়ে ভর্তির চেষ্টা বন্ধ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এর বাইরে কোচিং-বাণিজ্যও বন্ধ হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, সরকারি স্কুলে ২০২২ সালের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারাদেশে ৪০৫টি সরকারি বিদ্যালয়ের ৮০ হাজার ১৭টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ ভর্তিচ্ছু। অর্থাৎ, একটি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিল গড়ে ১৪ জন।
তাদের মধ্য থেকে আজ সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি জিতেছে ৭৫ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী। রাতেই ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তার সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দের যে স্কুলে ভর্তির জন্য মনোনীত হবে সেটি মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন আগামী ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। লটারি হবে ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর নায়েম ভবনে।