বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি

বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবনে জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন এবং লাঞ্ছনা সহ্য করেছেন। কিন্তু বাঙালির অধিকার আদায়ে অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস করেননি।

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে পাকিস্তানের শাসন-শোষণ, জুলুম-অত্যাচার, নির্যাতন এবং সব বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। তিনি নিজে অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও লাঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু মানুষের অধিকার আদায়ে অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস করেননি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ২০০০ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে মূলত বাংলাদেশের স্বপ্নকেই ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা এবং যারা ২৫ বছরের শাসন শোষণ করেছে তারা আবার দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন ২০৪১ সালের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

পাকিস্তান, ভারত, নেপালসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় আমাদের মাথাপিছু আয় বেশি উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাস, যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সবখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে ওই অঞ্চলে অনেক শিল্প-কলকারখানা সৃষ্টি হবে। সারাদেশে অর্থনৈতিক জোন করা হচ্ছে। এসব চালু হলে লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বদলে যাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।


স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান, অতিরিক্ত সচিব কাজী আশরাফ উদ্দীন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর বক্তব্য রাখেন। এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মো. তাজুল ইসলাম এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলার উদ্বোধন করে স্টল পরিদর্শন করেন। পরে মহান বিজয় দিবস-২০২১, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন মন্ত্রী।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু