পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায় বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ফোনালাপ হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে প্রতি বছর একাধিক বৈঠক হয়ে থাকে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ফোরামটি হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিবপর্যায়ে অংশীদারিত্ব সংলাপ। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ছাড়াও বিভিন্ন বৈঠকে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। তারা যেসব বিষয়ে জানতে চায় সেগুলোর উত্তর দেওয়া হয়। এরপরও কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফোন আলাপে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ফোনালাপের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় নিয়মিত বৈঠকগুলো বন্ধ আছে। এগুলো শিগগির চালু করা জন্য আমরা একমত হয়েছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে কিভাবে আরও জোরদার করা যায়- এ ব্যাপারে দুইপক্ষে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় অংশীদারিত্ব সংলাপ ছাড়াও নিরাপত্তা সংলাপ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রূপরেখা চুক্তি (টিকফা) বৈঠক হয়ে থাকে। আগামী মাসে অংশীদারিত্ব সংলাপ এবং এপ্রিলে নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠানের চেষ্টা চলছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির প্রধান রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার শিগগির ঢাকা সফর করতে পারেন।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা ইতঃপূর্বে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। এ ছাড়া গত শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বাংলাদেশের অবস্থান জানাতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তলব করার পর দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।