মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে লিংকন ইউনিভার্সিটি মাঠে অনুশীলন করে বাংলাদেশ। মাঠে আসতে পেরে মুমিনুলরা উচ্ছ্বসিত জানিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘বাইরে বের হতে পারার অনুভূতি অসাধারণ। ১১ দিন হোটেলে বন্দি থাকা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল ছেলেদের জন্য। ছেলেরা রৌদ্রোজ্জ্বল একটি দিনে মাঠে আসতে পেরে খুব খুশি।’
ওয়ার্ম-আপের পর ফুটবল দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের অনুশীলন। এরপর নেটে ব্যাটিং অনুশীলনে নামেন মুমিনুল-লিটন দাসরা। থ্রোয়ারের মাধ্যমে ব্যাটিং সেরেছেন টেস্ট অধিনায়ক। আর লিটনকে বোলিং করেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। আলাদা নেটে মুশফিকুর রহিমও ব্যাটিং করেন। তাকে বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুর দিনে জড়তা কাটিয়ে পুরোদমে ফেরার চেষ্টা ছিল সবার মাঝেই।
নিউ জিল্যান্ডের পিচ হবে পেস সহায়ক। আবু জায়েদ রাহী-তাসকিন আহমেদদের বোলিংয়ের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের ভালো-খারাপ। সফরকারী ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি পেসাররাও নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন। তাদের দিকে কড়া নজর রেখেছিলেন পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।
বেশ কয়েকদিন হোটেল রুমে বন্দি থাকার পর পুরোদমে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। মুমিনুলদের গুরু ডমিঙ্গোর প্রত্যাশা সিরিজ শুরুর আগেই ছন্দে ফিরবেন শিষ্যরা। সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় টেস্ট হবে ৯ জানুয়ারি।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আগামী দুই-তিন দিন হাই ইনটেনসিটি অনুশীলন হবে ব্যাটিং-বোলিংয়ের। টাওরাঙ্গা গিয়ে টেস্টের আগে ৬ দিন অনুশীলনের সুযোগ পাব আমরা। আশা করি সবাই ছন্দে ফিরতে পারবে টেস্টে নামার আগে, যেমন ইনটেনসিটি দরকার তা নিশ্চিত করতে পারবে।’