এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও একটি কমিশনারের পদ খালি হলো। ফলে বিএসইসির চার কমিশনার পদের মধ্যে বর্তমানে দুটিই ফাঁকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল চার বছরের জন্য বিএসইসির কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। সরকার তাকে চুক্তিভিত্তিক এই পদে নিয়োগ দেয়ার আগে তিনি প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করেন।
আট বছর ধরে ডিএসই ও বিএসইসিতে দায়িত্ব পালন করা বালা দুই প্রতিষ্ঠানেই বিতর্কের জন্ম দেন। বিএসইসির কমিশনার পদে থাকা অবস্থায় ডিএসই থেকে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের এমন কার্যকলাপে শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বপন কুমার বালা শেয়ারবাজারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন ২০১৩ সালে। ওই বছরের ১৫ এপ্রিল তিন বছরের জন্য ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একই বছরের ৩ এপ্রিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তার নিয়োগ অনুমোদন করে।
তবে ডিমিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ রূপান্তরিত হওয়ার পর সিইও পদটি এমডি পদে রূপান্তরিত হলে বালাও ডিএসইর এমডি হন। অবশ্য ডিএসইতে যোগদানের আগে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে (বিআইসিএম) কিছুদিন পার্ট টাইম ক্লাস নেন তিনি।
তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ডিএসইর এমডি পদে স্বপন কুমার বালার মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল। এরপর একই বছরের ১৮ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিএসইসির কমিশনার হিসেবে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়। পরের দিনই তিনি বিএসইসির কমিশনার হিসেবে কাজে যোগ দেন।
ডিএসই ছাড়ার আগেই স্বপন কুমার বালা প্রতিষ্ঠানটিতে একটি বিতর্কিত পদোন্নতি দিয়ে যান। এতে তার আস্থাভাজনরা পদোন্নতি পেলেও বঞ্চিত হন অনেক যোগ্য কর্মকর্তা। ফলে ডিএসইর কর্মকর্তাদের একটি অংশের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভও সৃষ্টি হয়।
কিন্তু বালা বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় কেউ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। অপরদিকে ডিএসই ছেড়ে বিএসইসিতে যোগ দিলেও ডিএসই থেকে অনৈতিকভাবে গাড়ি সুবিধা নিতে থাকেন বালা।