কার্যাদেশ না থাকা, শিপমেন্ট না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দেশি-বিদেশি এসব কারখানা মালিকরা ‘লে-অফ’র জন্য ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম ইপিজেডের ৪৬টি এবং কর্ণফুলী ইপিজেডের ২৩টি কারখানা এই আবেদন করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে। সে হিসেবে ইপিজেড দুটির প্রায় ৩৫ শতাংশ কারখানা ‘লে অফ’র দিকে যাচ্ছে।
এসবের মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়াও জুতা, তাঁবু, ফেব্রিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তৈরির কারখানাও রয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রম আইনের ভাষায়, লে-অফ হল কোনো কারখানায় কাঁচামালের স্বল্পতা, মাল জমে যাওয়া কিংবা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় শ্রমিককে কাজ দিতে না পারার অক্ষমতা।
কারখানা কর্তৃপক্ষের লে-অফ ঘোষণার উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লে অফ ঘোষণা কাম্য নয়। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে লে অফ শ্রমিকদের আরও ‘বেশি ঝুঁকিতে ফেলে দেবে’।
চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেডে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে কারখানা আছে দুইশর মতো। এর মধ্যে কর্ণফুলী ইপিজেডে কারখানা আছে ৪১টি এবং শ্রমিক কাজ করে ৭৬ হাজারের মতো। অপরদিকে চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানার সংখ্যা ১৫৮টি এবং শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম বলেন, তৈরি পোশাক খাত, তাঁবু, জুতা ও ইলেক্ট্রনিক্স কারখানা মিলিয়ে মোট ৪৬টি কারখানা কর্তৃপক্ষ লে অফের জন্য তাদের কাছে অনুমোদন চেয়েছে।
তিনি বলেন, কাজ না থাকা, বিদেশি ক্রেতাদের শিপমেন্ট বাতিল করা, কাজের আদেশের অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ লে অফের আবেদন করছে। নিজেদের টিকে থাকতে কারখানা কর্তৃপক্ষ চাইলে লে অফ ঘোষণা করতে পারে। সে হিসেবে তারা আইন মেনেই আবেদন করেছে।