শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পোটকাখালী গণকবরে তাদের দাফন করা হয়। এর আগে বেলা ১১টার কিছু পর জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে সার্কিট হাউজ মাঠে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বরগুনার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ লুৎফর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭ জনের মরদেহ ঝালকাঠি হাসপাতালের মর্গ থেকে বরগুনা নিয়ে আসা হয়। রাতেই মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরমধ্যে মোট ১০ জনের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা। চার জনের মরদেহ শনাক্তের কাজ চলছে। বাকি ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের গণকবর দেওয়া হলো।’
তিনি আরও জানান, অজ্ঞাতদের ময়নাতদন্ত শেষে ডিএনএ সংরক্ষণ করেছে ফরেনসিক বিভাগ। পরবর্তীতে যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছে তাদের ডিএনএ নিয়ে মেলানো হবে। এরপর যাদের সঙ্গে মিলে যাবে তাদের স্বজনরা ইচ্ছে করলে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলো তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিলো। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিলো ৮০০ থেকে এক হাজার জন।