শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জুমবাংলা স্কুল প্রাঙ্গনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন এ শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাঙালি প্রকৃত অর্থেই দেশপ্রেমিক জাতি। দেশের জন্য যখনই বাঙালি ঐক্যবধ্য হয়েছে, তখনই বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি পরাজয় মানে না, আমরা পরাভব মানবো না। বাংলাদেশ কোন মহাদেশে অবস্থিত, এটা এখন বক্তৃতা দিয়ে আমাদেরকে বলতে হয় না। আমরা অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
জুমবাংলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীদিনের ভবিষৎ। এই শিশুরাই দেশের জন্য আগামীদিনে কাজ করবে, অবদান রাখবে। শিশুদের প্রত্যেকের মাঝে সম্ভাবনার দূতি দেখতে পাই। ওদের চোখে সম্ভাবনার স্ফূরণ দেখতে পেয়েছি। জুমবাংলা কার্যক্রম দেখে ব্যক্তিগতভাবে আমি অভিভূত।
অনুষ্ঠানে জুমবাংলা স্কুলের কৃতি শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া চার শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে শীতবস্ত্র, শিক্ষা উপকরণ এবং উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। পরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জুমবাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি জেরিন সুলতানা। সভাপতিত্ব করেন জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি রুহুল আমিন সেলিম।
জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক সামাজিক সংগঠন। সংগঠনটি পথশিশু ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ, ইয়ুথ লিডারশিপ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভলেন্টিয়ার ওয়ার্কশপ, আত্ম-কর্মসংস্থান, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
সংগঠনটি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ঢাকায় ছয়টি স্কুল পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে তিনটি আনুষ্ঠানিক এবং তিনটি অনানুষ্ঠানিক। এছাড়া ঢাকার বাইরে গাইবান্ধায়ও সংগঠনটির একটি অনানুষ্ঠানিক স্কুল রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বাইরে ১০ জেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে জুমবাংলা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন।