শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান তারা।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মৃতদের মধ্যে একজন নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। অন্যজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছিলেন। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে তারা হাসপাতালের ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ১০৪ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ২৭ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ২৪ জন। বর্তমানে রাজশাহীর ১২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, নওগাঁর ৬ জন, নাটোরের ৩ জন, পাবনার ২ জন এবং কুষ্টিয়ার ২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২১ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি একজনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। এই এক দিনে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন তিনজন রোগী।
এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে রামেক হাসপাতাল ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে চালু রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ল্যাব। সর্বশেষ শনিবার এই ল্যাবে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় রাজশাহী জেলার একজনের করোনা ধরা পড়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে এই জেলায় করোনা শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।