লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক গ্রেফতার

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক গ্রেফতার
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) র‍্যা বের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।

ওই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রোববার দুপুরে নৌপরিবহন আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জয়নাব বেগম এ পরোয়ানা জারি করেন।

এদিকে অভিযান-১০ লঞ্চে সিঙ্গেল ও ডাবল মিলিয়ে শতাধিক কেবিন ছিল। এসব কেবিনে পাঁচতারকা মানের হোটেলের মতো সব ধরনের আয়োজনও ছিল। শুধু পর্যাপ্ত ছিল না অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও জরুরি মুহূর্তে পানিতে লাফিয়ে জীবন বাঁচানোর বয়া।

ডেকের যাত্রীদের জন্য নিচ ও দ্বিতীয় তলায় ৫০টিরও কম বয়া ছিল। দ্বিতীয় তলার কেবিন ব্লকে দুই পাশ মিলিয়ে ৮-১০টি বয়া রাখার স্থান ছিল আর তৃতীয় তলায় ৫৮টি সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিনের জন্য সব মিলিয়ে ২০টি বয়া রাখার স্থান ছিল। অর্থাৎ শতাধিক কেবিনের জন্য মাত্র ৩০টি বয়া রাখার স্থানের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবার বয়াগুলো রাখা ছিল অন্তত ১২ ফুট উচ্চতায়। তাও আবার শক্ত করে বাঁধা, যা ছিল নাগালের বাইরে।

হাজারের বেশি যাত্রী বহনকারী বিলাসবহুল অভিযান-১০ যাত্রী সেবায় আকৃষ্ট করলেও উপেক্ষিত থেকে গেছে যাত্রীদের জীবন রক্ষার বিষয়টি। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র যেন আরেক শুভঙ্করের ফাঁকি। পুরো লঞ্চটিতে মাত্র তিনটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পাওয়া গেছে। সেটিও ইঞ্জিন রুমের পাশে।

এছাড়া লঞ্চের রান্নাঘর ছিল ইঞ্জিন রুমের মাত্র ১০ ফুটের মধ্যে, চায়ের ক্যান্টিন ছিল ১৫ ফুটের মধ্যে। ছিল না জরুরি মুহূর্তে বের হওয়ার কোনো উপায়। লঞ্চ থেকে যাত্রীদের বের হওয়ার প্রধান দরজাটি তিন ফুটেরও কম। সেখান দিয়ে একসঙ্গে দুজন মানুষ বের হওয়াই কষ্টকর।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির লাইনের ব্যবস্থা থাকলেও ছিল না ব্যবহারের ব্যবস্থা। এমনকি আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরও অব্যবহৃত থেকে গেছে সেই পানির লাইন।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, অভিযান-১০ লঞ্চটি ২০১৯ সালে নিবন্ধিত হয়। এর মালিক সূত্রাপুরের বাসিন্দা মো. হাম জামাল শেখ নামের এক ব্যবসায়ী। লঞ্চটিতে ১২৫টি লাইফ বয়া, ২২টি লাইফ জ্যাকেট, ফায়ার এক্সটিংগুইশার ২০, বালুভর্তি বালতি ১৫টি ও ১টি বালির বক্স থাকার কথা। বয়াগুলো যাত্রীদের হাতের নাগালে ও প্রকাশ্যে রাখার নিয়ম আছে। যেন দুর্ঘটনা ঘটলে সেটি নিয়ে যাত্রীরা পানিতে ঝাঁপিয়ে প্রাণ রক্ষা করতে পারেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু