জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গত নভেম্বরে বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার সুপারিশ করেছে। রোববার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যাপন করবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে শনিবার (১ জানুয়ারি) অনলাইনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির অর্জনকে রূপকথার গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অভাবনীয় অর্জনের দিকগুলো অবশ্য ব্যাখ্যা করেননি অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল ২০২১। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ও উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ—এ দুই কারণে বছরটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
প্রবৃদ্ধির সুফল পাচ্ছেন মুষ্টিমেয় লোক, সমাজে বৈষম্যও বাড়ছে। শুধু প্রবৃদ্ধি দিয়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন করা যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ আমাদের যে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেখানে কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন ছিল না। অর্থনীতির সূচকগুলো ছিল সেখানে। মাথাপিছু আয়সহ অন্যান্য বিষয়ও ছিল। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যপথেই আছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার ব্যাপারে আমরা জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের স্বপ্ন পূরণ করা, ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া এবং ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে যাওয়া। আমাদের আরও স্বপ্ন হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০টি উন্নত দেশের একটি হওয়া। এ অর্জন আমরা করবই করব। আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার কল্পিত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণরেখাটি স্পর্শ করতে পারব।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কাল রোববার ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এলডিসি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়টি উদ্যাপনে অনুষ্ঠান হবে। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যে সুপারিশ অনুমোদন করেছে, এর মধ্যে ৫ বছরের প্রস্তুতিমূলক সময় পাবে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে।