গেল সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। টাকার অংকে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ২৬ টাকা ১০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১৮৬ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ২১২ টাকা ৪০ পয়সা।
অবশ্য এ দাম কমার আগে কোম্পানিটির শেয়ার দাম একদিনে ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এতে একদিনে ১৮ টাকা বেড়ে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ২১২ টাকা ৪০ পয়সা। এ দাম বাড়ার পরের কার্যদিবস থেকেই দাম কমতে শুরু করে এবং গেল সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে দাম কমে।
শেয়ার দামে এমন উত্থান-পতন হওয়া কোম্পানিটি কয়েক মাস ধরেই এক ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি কোম্পানিটিতে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এর ফলে বর্তমান প্রশাসক তার পদে থাকতে আপাতত বাধা নেই। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ওই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হলে সেটি শুনানি নিয়ে ১০ জানুয়ারি নতুন আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
জীবন বিমা তহবিল বাড়িয়ে দেখানো, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ বরখাস্ত করে চার মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেয় বিমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা ঘুস চাওয়ার অভিযোগ আনার কয়েক দিন পর ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সাসপেন্ড করে সংস্থাটি।
প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আইডিআরএর সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে। তবে চার মাস না যেতেই গত বছরের জুনে তার নিয়োগ বাতিল করে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ২১ শতাংশ, শ্যামপুর সুগার মিলের ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, সি পাল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’র ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ই-জেনারেশনের ৭ দশমিক ৬৯ শতংশ, অগ্নি সিস্টেমের ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং আর এন স্পিনিংয়ের ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ দাম কমেছে।