শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া আর কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির নিচে নামেনি। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ মেঘলা। কোথাও কোথাও ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিও পড়ছে। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু/এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
একই সঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিভাংশ উত্তর-পূর্ব উচ্চচাপ বলয়ের বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কক্সবাজারের টেকনাফে।