তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে আপাতত এক সপ্তাহের জন্য সশরীরে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার (১৬-২০ জানুয়ারি) পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থাকবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা যায়।
আমরা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র এবং সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ রাখছি। সেখানের পাওয়া তথ্য মতে, করোনা আক্রান্তের হার বেড়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতিনিয়ত সব কিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সশরীরে ক্লাস বন্ধের কথা বলা হলেও চালু রাখা হয় পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস সমূহ। এদিকে নতুন করে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক সপ্তাহের জন্য সশরীরে পরীক্ষাও বন্ধ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান শামসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আক্রান্তের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা নিয়মিত অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হলের গণরুমের শিক্ষার্থীদের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। অনেক শিক্ষার্থী একসঙ্গে থাকার ফলে গণরুমে স্বাস্থ্যবিধি মানা অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আইসোলেশন কক্ষ রাখা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ আ স ম ফিরোজ উল হাসান। তিনি বলেন, আমার হলের এক শিক্ষার্থীর করোনা আক্রান্তের খবর জেনেছি। সে মিনি গণরুমে থাকে। আপাতত তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে যারা থাকত তাদেরও আলাদা রাখা হয়েছে। আক্রান্ত শিক্ষার্থী চাইলে বাড়িতে যেতে পারেন অথবা আইসোলেশন কক্ষে থাকতে পারবেন।