এই দাম বাড়ার আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ, রুপা ও প্লাটিনামের দাম কিছুটা কমেছিল। গেল সপ্তাহের আগের সপ্তাহে স্বর্ণের দাম কমে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। রুপার দাম কমে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর প্লাটিনামের দাম কমে দশমিক ৭৩ শতাংশ। অবশ্য তার আগে টানা তিন সপ্তাহ স্বর্ণের দাম বাড়ে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম কমে ৪ দশমিক ৮০ ডলার বা দশমিক ২৬ শতাংশ। এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ২১ ডলার।
এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১৭ দশমিক ২৯ ডলার। আগের সপ্তাহের স্বর্ণের দাম কমে ৩১ দশমিক ৬১ ডলার। তার আগের তিন সপ্তাহ টানা দাম বাড়ার মাধ্যমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮২৭ দশমিক ৯০ ডলারে উঠে আসে।
অবশ্য টানা তিন সপ্তাহ দাম বাড়ার আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের টানা চার সপ্তাহ দরপতন হয়। এতে এক মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৭৯ ডলার বা ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ কমে যায়।
বিশ্ববাজারে টানা দরপতন হতে থাকাই গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে দেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম কমিয়ে দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এতে বর্তমানে সবচেয়ে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৭৩ হাজার ১৩ টাকা।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৯৮৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৬১ হাজার ২৩৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৯১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও রুপার আগের নির্ধারিত দামই বহাল রাখা হয়। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য এক হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম এক হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, স্বর্ণের পাশাপাশি গেল এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে রুপার দামও বেড়েছে। গেল এক সপ্তাহে ২ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৯৫ ডলারে। এতে মাসের ব্যবধানে রুপার দাম বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৭০ দশমিক শূন্য ৯ ডলার। এই দাম বাড়ার মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে প্লাটিনামের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।