তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদফতর প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার জন্যে ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমির বর্তমান অবস্থা : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন করা হয় এবং অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য ভূমি, জলাশয়, নদী-নালা ও সমুদ্রে পতিত হয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে চারটি নতুন প্রকল্প অচিরেই শুরু হবে। পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বর্জ্য হ্রাস, পুনঃব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ন (থ্রি আর) স্ট্র্যাটেজি ফর ম্যানেজমেন্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে সার্কুলার ইকোনমি বা বৃত্তাকার অর্থনীতি বাস্তবায়ন হলে ভূগর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ সম্পদ আহরণের পরিমাণ হ্রাস পাবে, কাঁচামালের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত হবে, সম্পদের অপচয় কমবে, প্রক্রিয়া চলাকালীন উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।
এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আরও উপস্থিত ছিলেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মিজান আর খান, এনভায়রনমেন্টাল, ন্যাচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ব্লু ইকোনমি গ্লোবাল প্র্যাকটিসের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট ইউং জু এলিসন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এবং এফবিসিসিআই এর প্যানেল এডভাইজার ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. একে এনামুল হক প্রমুখ।