রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ বছর হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের জিডিপির আকার হবে ৪৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ৪৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারকে আমাদের যে জনগোষ্ঠী আছে তার সাথে ভাগ দিলেই আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এটা হচ্ছে আমাদের এই বছরের হিসাব। আশা করি আগামী অর্থবছরে আমাদের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে। সেসময় আমাদের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ২ হাজার ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, আইএমএফ সবসময় সারাবিশ্বের অর্থনীতি একদিকে বিশ্লেষণ করেন,আরেকদিকে তাদের পর্যবেক্ষণ বা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। আমরা প্রত্যাশা করছি ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, এর বিপরীতি আইএমএফ বলছে আমরা ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা অবশ্যই... অতীতের মতো... আমার বিশ্বাস, আমরা যা বলেছি সেটা অর্জন করতে সক্ষম হবো। আগামী বছর আমাদের মাথাপিছু জাতীয় আয় ৩ হাজার ৮৯ মার্কিন ডলার হবে। সেই বছর আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫ শতাংশ, এটা আমার মোটামুটি হিসাব।
এদিকে বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে দাঁড়াবে ৬.৯ শতাংশ। আর গেল ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ