আজ রোববার উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার সময় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনের জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে উদ্ভাবনে দক্ষ হয়ে উঠবে আমাদের শিক্ষার্থীরা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং এর সকল সম্ভাবনাকে সফলভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। আমাদের ২০৪১, ২১০০ সালের সকল যে পরিকল্পনা এবং রূপকল্প রয়েছে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড যে আমাদের অর্জন করতে হবে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে গেলে এর মূল হাতিয়ার শিক্ষা।
এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শনকে অনুসরণ করেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে চলছে। কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। যত দেশ উন্নত হয়েছে তারা সবাই কারিগরি শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দিয়েছে এবং তার মাধ্যমেই সেসব দেশ সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাই। কর্মজগতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরি করার জন্য কর্মমুখী শিক্ষা জরুরি। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করতে হবে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে নিয়োজিত হতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে সকল ধরনের প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত থাকবে এবং পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা দেবে।
ডা. দীপু মনি আরো বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়েছে। যদিও আমরা এখনো জিডিপির শতকরা ৩ ভাগের কম বিনিয়োগ করছি। কিন্তু টাকার অংকের দিকে তাকালে, শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে যে জাতীয় বাজেট দিয়েছিলেন বর্তমানে শিক্ষার বাজেটই তার চেয়ে বেশি। আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষাই হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প।