সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হাট-বাজার স্থানান্তর সহ অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে মাঠে রয়েছে র্যাব, পুলিশ সহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
ঘর থেকে বের হতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার কর্মজীবী মানুষ। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকায় অভাব-অনটনে অসহায় হয়ে পড়েছে এই সমস্ত মানুষগুলো। বিশেষ করে দিনআনা দিনখাওয়া মানুষগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।
এমতাবস্থায় বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার এই সমস্ত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নিজেদের বরাদ্দকৃত রেশন থেকে কম খেয়ে দু:স্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করছেন তারা।
শনিবার শাজাহানপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ৫০টি দরিদ্র পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বস্তাভর্তি শুকনো খাবার চাল, ডাল, লবণ, আলু, তেল, সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন সেনাসদস্যরা। ইতোমধ্যে উপজেলার আরো ১৮০টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেনা কর্তৃপক্ষ।
সেনা সূত্র জানায়, করানাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সেনাসদরের নির্দেশক্রমে আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক) এর অধীনস্থ এনসিও একাডেমি কর্তৃক দরিদ্র ও দু:স্থ জনসাধারণের মাঝে জরুরি সাহায্য হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিনে চার হাজারের বেশি পরিবারকে শুকনো খাবার, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে আর্টডক। এছাড়াও সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে বৃদ্ধ ও সহায়সম্বলহীন পরিবারকে নিয়মিতভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
এই দুর্যোগকাল দরিদ্র পরিবার সমুহকে আর্টডক এর অধীনস্থ এনসিও একাডেমির এই মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে সূত্রটি। দেশের এই দুর্যোগময় মুহূর্তে সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল।